মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

একটি মৃত্যু পরবর্তী পরিকল্পনা- Life After Death



মৃত্যু নিয়া ভাবতে ভাবতে জীবনের সংজ্ঞাটা নতুন করে ধরা দিলো। মনে হয় মানুষের আসল জীবন শুরু হয় মৃত্যুর পরে। সোজা কথায় আমি মরলাম, সচেতন নাগরিক সমাজ আর চাষা গ্রাম্য সমাজ- কেও-ই আমিকে মনে রাখলো না। রাখলো না মানে, মনে রাখার মত কিছু করা হয় নাই তাই। তো এই আমি'র কোন মূল্য নাই আমার কাছে।অর্থাৎ 'আমি' যে লাইফ লিড করলো আমার কাছে ওইটা লাইফ না। 
আবার কিছু ব্যাপার আছে। আমাদের মিরজাফর, রাজাকার,বাংলাভাই প্রভৃতি এরাও বেঁচে থাকবেন।বঙ্গের স্মরণীয় ব্যক্তিদের মধ্যে এরাও পড়েন। তবে সেই ঘরের শত্রুদের পক্ষে কিছু্ বলার নাই। কারণ থুথু খাইবার ইচ্ছা আমার মোটেও নাই- মরার পরে তো প্রশ্নই ওঠে না। মানুষের মনে যায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রেও রকম ফেরটা তাহলে বোঝা গেল। 

তাই বহু চিন্তা কইরা দেখলাম, নৈতিক ও মানবিক কাজ করা ছাড়া উপায় নাই। মানে সচেতন সাধারণ জনগণ যাকে ভাল বলে তাই করার চেষ্টা করা। কষ্ট হইলেও করা। কোন মনীষী যেন বলেছিলেন; সাহিত্য ছাড়া বিজ্ঞান ধ্বংসাক্তক, আর বিজ্ঞান ছাড়া সাহিত্য অর্থহীন(বোধহয় পুরো ঠিক হল না)। 
আমরা যারা বাংলা মিডিয়াম থেইকা এসএসসি পাস করছি, তাগো লেইগা আমার একটা পরামর্শ হইলো নাইন-টেনের বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইয়ে যে কয়ডা সারাংশ, সারমর্ম আর ভাব সম্প্রসারণ আছে ওইগুলা পড়লেই আর কিছু পড়ার দরকার নাই- কষ্ট কইরা মাইননা চললেই হয়। তাইলে আপনার মৃত্যুর পর জানাজায় অনেক মানুষ হইবো। এ্যাটলিস্ট আপনার পরিবার অনেক সম্মান পাইবো। এখানে আসল কথা হইল আপনি অনেকের চোখে স্বপ্ন দেখাইয়া গেলেন। আপনার কথা মনে কইরাও, যদি কেও ভাল কিছু করে বা খারাপ কাজ থেইকা বিরত থাকে, বিষয়টা একবার ভাইবা দেখেন! 
আবশ্য পন্ডিত হইতে হইলে টেন পর্যন্ত যে পড়তে হইবো এমন কোন কথা নাই। দুই ক্লাশ পড়া লোকও পন্ডিত হইতে পারে আবার পিএসডি করা লোকও অমানুষ হইতে পারে। 
তারপর কিছু করার তাগিদ(ভাল কাজ) আপনের মধ্যে যদি দেখতে পান। 
তাইলে আমি ধইরা নিলাম আপনি পৃথিবী সম্পর্কে অনেক জ্ঞান রাখেন। 
ভাল কাজ কইরা মানুষের মাঝে থাকার স্বাদ আপনার আছে। 
যেমন এই ব্লগটা যারা বানাইছে, তারা তো বিরাট এক কাজ কইরা ফালাইছে। দমটা বেরোলই মানুষ মরে না, মানুষ মরে হারাই গেলে। মানে মন থেইকা হারাই গেলে। এই ব্লগের স্রষ্টাগো কোন দিন মৃত্যু হইবো না। 
এই যে আমি লিখতাছি,যদি কোনদিন প্রথম পাতায় আসে, কেও হয়তো বাশ মারা মন্তব্য লিখবেন(সবাই না)। দেহেন, এত সুন্দর একটা লেখা পইরা যদি বাশ মারা মন্তব্য করেন। আচ্ছা, ঠিক আছে। 
ধরেন তারপরের দিন মইরা গেলেন। ব্লগাররা খঁজতে থাকলো আপনারে। হা, শেষ মন্তব্য জেমসের পোস্টে। হুম। একটু খোঁজ করে দেখা গেল, আপনি সবার লেখায়ই ফাউল ফাউল মন্তব্য করছেন। তখন কেও যদি বলে শালায় ছিল একটা ফাজিল,আপনার আত্মাটা কি কষ্ট পাবে না? 
আচ্ছা, আত্মা বাদ দিলাম; ব্লগাররা তো আপনারে ঠিকই... 
সেই সুযোগ দিবেন ক্যান? ভাইবা দেখেন কথাটা। 
তবে যেটা খারাপ ওইডারে তো খারাপ কইবেনই। খারাপরে সবারই উচিত ব্যান্ড করা। সাথে সাথে ভালরে ভাল কইতেই হইবো। কারণ আপনার ছোট ভাইবিরাদাররাও তো ব্লগে লেখালিখি করে, তারা তো আপনার মন্তব্য দেইখাই ভাল- মন্দের বিচার করবার শিখবো। 
হ। এইবার আসল কথা কই। এত বকবকানির কারণ কী? 
এত সুন্দর ফর্মূলা ইউজ কইরা যদি নৈতিক বা মানবিক কাজ হইতো, তাইলে তো হইলো না। মানে বানর হওয়া সহজ, মানুষ হওয়া কঠিন। 

একটা ঘটনা বলি, আমাগো গ্রাম মোলাশীকান্দা দিয়া যে সড়কটা গেছে, কোন এক সময় সড়ক ঠিক করার জন্য মাটি, ইটা রাখা ছিল রাস্তায়। তো জয়পাড়া থেইকা মনে হয় এক লোক মাল বোঝায় ভ্যান গাড়ি নিয়া আমাগো বাড়ির সামনে(বাড়ির লগেই সড়ক)। বহু কষ্ট কইরা যে এতদূর আইছে, বুঝাযাইতাছে। আমাগো বাড়ি থেইকা বান্দুরা বাজার দুই মিনিট। কিন্তু ব্যাটা তো আর গাড়ি নড়াইতেই পারেনা। আমার মনে হইলো ব্যাটা কুয়ার মধ্যে পড়ছে। না পারে ফিরা যাইতে না পারে সামনে যাইতে।আমি ঠেইলা ওইদিন তারে হেল্প করি। হে এত খুশি হইছিল- সে আমারে দশ টাকা দিতে চাইছিল। আর আমি হাসছিলাম। 
কৃতজ্ঞতা বশত আমার নাম জিজ্ঞেস করছিল। 
এই যে আমি লোকটারে হেল্প করলাম,ইডা না করলে কি পৃথিবী আমারে ভুইল্যা যাইতো? 
এইডা কইবার কারণ হইল, লোক দেখাইয়া ভাল কাজ করতে হইবো এমন কোন কথা নাই। আমি বহু মানুষ দেখছি যারা প্রচারমুখি হইতে গিয়া, সবার কাছে নিজেরে চিনাইবার গিয়া নীতি বিসর্জন দিছে। কিন্তু কী হইল, তার ইতিহাসে 'কিন্তু' তো রইয়া-ই গেল। তাই পাগল হইয়েন না, আপনার ভেতর জিনিস থাকলে পাবলিকই আপনারে খুইজা নিবো। 
দয়া কইরা আবার মুখোশ পরবার যায়েন না। 
এক্কেবারে নিট এ্যান্ড ক্লিন তো হওয়াটা তো অনেক সাধনার ব্যাপার। তবে চেষ্টা করতে দোষ কী। দোষ যদি কইরা-ই ফালায় মাফ চামু। 
আর আমি এত মূল্যবান কথা আপনেগো কইলাম কারণ শোয়ারিংটা মানুষের জীবনে খুবই প্রয়োজন। আমি যদি নিজের ভেতর রাইখ্যা হিরো হইতে চাই, তাইলে মরার আগে একটা মানুষও পামুনা। কারণ তাইলে তো আমি স্বার্থপর হইয়া যামু। এই যে এত জ্ঞানী জ্ঞানী কথা কইলাম, এগুলা আমারেও কেও কইছে: মানুষ কইছে, গাছ কইছে, বাতাস কইছে। তারা যদি আমারে না কইতো, তারা যে এত বড় মনের অধিকারী আমি বুঝতাম না, আবার তারাও স্বার্থপর হইয়া যাইতো। তো এত কিছু বুইঝা চুপ থাকলে তো নাদানের কাজ হইয়া যায়, তাই না? 
আলোচনার গোধূলি বেলায়, একটা রিকোয়েস্ট, মৃত্যু নিয়া ভাবেন। অন্ধকারে আলো জ্বালান। আলোতে পাশের মানুষটিকেও নিয়া আসেন। 
মানুষ যে ভয়ানক স্বার্থপর হইয়া গেছে তাই লিখতেই হইল। মৃত্যুর পরে আপনি যদি মানুষের মনের সম্পদ না হইতে পারেন। সারা জীবন সম্পদ গইড়া কী লাভ? বর্তমানে মানুষ যে ভাবে পয়সা পিছে ছুটে...। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কত টাকা প্রয়োজন? যে মানুষ আজীবন অর্থের পেছনে ছোটে, সে কখনো আত্মিক মুক্তি পায় না। আর আত্মিক মুক্তি না পাইলে সুখ আইবো কই থেইকা? 
শুধু শুধু পৃথিবীতে গরম বাড়াইয়া, প্রেসার হাই কইরা কী লাভ। তার চেয়ে কিছু ফিলোসফি বই নিয়া গ্রামের বাড়ি চইলা যান। 

আর একটা কথা ওই যে মানুষের মনের সম্পদের কথা কইলাম, মনে করেন ওইডাই স্বর্গ।

- জেমস আনজুস

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কোথাও নেই- ওস্তাদ পি. সি. গোমেজ (গমেজ)

পি.সি. গমেজ রচিত গ্রন্থের প্রচ্ছদ - †Rgm AvbRym evsjv‡`‡ki cÖL¨vZ D”Pv½m½xZ wkíx cvm Kvjm Pvj©m M‡gR(wc. ...